চাকরি দেওয়ার নামে যুবতীর সঙ্গে সহবাস

চাকরি দেওয়ার নামে যুবতীর সঙ্গে সহবাস

চাকরি দেওয়ার নামে যুবতীর সঙ্গে সহবাস

চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর বিরুদ্ধে৷ নদিয়ার কুপার্স পুরসভার কাউন্সিলরের স্বামী সমীর দে এই কীর্তি করেছেন বলে অভিযোগ৷ তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে৷ বৃহস্পতিবার কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দে তাঁকে মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ৷ খবর-সংবাদ প্রতিদিন

13925320_931062833671374_2150733992390824802_n

একসময় ওই কাউন্সিলরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছেলেকে পড়াতেন যুবতী৷ তিনি এমএ পাস৷ বাড়িতে যাওয়ার সুবাদে সমীরের সঙ্গে তাঁর পরিচয়৷ কুপার্স পুরসভায় চতুর্থ শ্রেণির কর্মী হিসাবে কাজ করেন সমীর৷ যুবতী জানিয়েছেন, আলাপ-পরিচয়ের পর তিনি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন৷ তারপর টানা তিন বছর ধরে সহবাস করেন৷ কিন্তু চাকরি হয়নি৷ কাউন্সিলরের স্বামী জোর করে বারবার সহবাস করেছেন বলে দাবি করেছেন যুবতী৷ কুপার্স পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দে-র স্বামী হিসাবে তিনি এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান৷ এদিন একটি পুজোর অনুষ্ঠানে অকারণে কাউন্সিলর ওই যুবতীকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ৷

পুলিশ জানিয়েছে, মনসা পুজো উপলক্ষে দুই মহিলা পুজো দিতে গিয়েছিল৷ সেখানেই মারধরের ঘটনা ঘটে৷ যুবতী জানিয়েছেন, “পুজো দিতে গিয়েছিলাম৷ কাউন্সিলর হঠাত্‍ আমার দিকে তেলের শিশি ছুড়ে দেন৷ আমি প্রতিবাদ করি৷ আরও কয়েকজন মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করেন কাউন্সিলর৷” অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷ ওই যুবতীর অভিযোগ অস্বীকার করে সমীর দে বলেন, “মেয়েটির সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক ছিল না৷

চাকরির কোনও প্রতিশ্রুতি দিইনি৷” কাউন্সিলর বলেন, “আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল ঠিকই৷ কিন্তু মারধরের ঘটনা ঘটেনি৷” পুরসভার কর্মী সমীরের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছে৷ এ প্রসঙ্গে পুরসভার চেয়ারম্যান শিবু বাইন বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে৷ পুলিশ তদন্তে নেমেছে৷”

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment